সোমবার উত্তর কোরিয়া জাপান সাগরে দূরপাল্লার চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে।
পরদিনই যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের থাড ক্ষেপণাস্ত্র নিরাপত্তা বুহ্য মোতায়েন শুরু করেছে।
সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনাপ বলছে এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
বলা হচ্ছে, থাড স্বল্প এবং মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করার আগেই তা সনাক্ত করে আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম। এটি থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র ২০০ কিমি পর্যন্ত দুরের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে। দেড়শ কিমি পর্যন্ত উঁচুতে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া বলছে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় এ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন নিয়ে অঞ্চলের বেশ কিছু দেশ আপত্তি করছিলো।
চীন হুঁশিয়ার করেছে তারা এখন পাল্টা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেবে। কি সেই ব্যবস্থা তা খোলাসা করেনি চীন।
রাশিয়াও থাড মোতায়েনের বিরুদ্ধে। চীন এবং রাশিয়ার উদ্বেগ এই ব্যবস্থার রাডারের আওতায় তারাও চলে আসবে। গত বছর চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায় কোরীয় উপদ্বীপে এই ক্ষোপনাস্ত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা তাদের কৌশলগত নিরাপত্তা স্বার্থকে খাটো করবে।
এমনকী দক্ষিণ কোরিয়াতেই অনেকে আশঙ্কা করছেন যে শত্রু দেশগুলো এখন এই ব্যবস্থাকেই টার্গেট করতে চাইবে। ফলে যে সব জায়গায় এই ব্যবস্থা মোতায়েন করা হচ্ছে তার আশপাশের জনজীবন হুমকিতে পড়তে পারে।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সংজু অঞ্চলের বহু বাসিন্দা গতবছর আগস্ট মাসে থাড মোতায়েনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মাথা নাড়া করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলো।